দেশের বাজারে পেঁয়াজ সংকট আর দাম নিয়ে আলোচনা চলছে প্রায় পাঁচ মাস। এসময়ের মধ্যে দফায় দফায় দাম বেড়ে সর্বশেষ ২৭০ টাকায় উঠে। তবে আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ আর দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসায় কমতে শুরু করেছে দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ ভেদে কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার (খুচরা বাজার), মগবাজার, রামপুরা, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজার, ফকিরাপুল কাঁচা বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে এসব বাজারে আমদানি করা বার্মা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৩০ টাকা কমে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি দরে। দেশি নতুন পেঁয়াজ কেজিপ্রতি প্রায় ৪০ টাকা কমে বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমে গাছসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।
দাম কমেছে মিশর ও চীনা পেঁয়াজের। চীনা পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। আমদানি করা মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে।
তবে বাজারে দেশি পেঁয়াজ (পুরাতন) কম থাকলেও তা আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। এ পেঁয়াজের দাম এখনও ২২০ থেকে ২৩০ টাকা চাওয়া হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম কমায় ক্রেতার পাশাপাশি বিক্রেতারাও খুশি। এ নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে তাদের মধ্যে।
আয়েশা নামে খিলগাঁও বাজারের এক ক্রেতা বলেন, পেঁয়াজ আমাদের অতিপ্রয়োজনীয় মসলা। তরকারিতে বাড়তি স্বাদ আনতে এর জুড়ি নেই। এখন দাম কমায় ভালো লাগছে। তবে দাম আরও কম হওয়া উচিত। তাহলে আমরা সাধ্যমতো কেনার সুযোগ পাবো।
এ বাজারের বিক্রেতা হাসিবুল (হাসি) বলেন, পেঁয়াজের দাম কমায় বিক্রি বেড়েছে। আর বিক্রি হলে লাভটাও বেশি হয়। এর আগে দাম বাড়তি থাকায় চাহিদার তুলনায় খুবই কম পেঁয়াজ নিয়েছেন ক্রেতারা।
অন্যদিকে টিসিবির ট্রাক সেলে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। তবে পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক কম হওয়া টিসিবির ট্রাক সেলে আগের মতো ক্রেতার ভিড় চোখে পড়ছে না।