নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা অভিযান চালিয়ে দুই মাদকবিক্রেতাকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন (র্যাব)। এ সময় একজনের পেটের ভেতর থেকে এক হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) র্যাব-১১ থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা অভিযান চালিয়ে মো. নাজমুল হক (৪৩) ও তার স্ত্রী নাদিয়া আক্তারকে (৩১) আটক করা হয়। পরে নাজমুলকে হাসপাতালে নিয়ে তার পেটের ভেতর থেকে এক হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে নাজমুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার সিদ্ধিরগঞ্জের ভাড়া বাসায় তল্লাশি চালিয়ে আরও ৫০ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ এক লাখ ৫২ হাজার টাকাসহ তার স্ত্রী নাদিয়া আক্তারকে আটক করা হয়। তারা দু’জনই চিহ্নিত মাদক পাচারকারী। মাদক ব্যবসা তাদের একমাত্র পেশা। তারা দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কায়দায় পেটের ভেতর ইয়াবা ঢুকিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে বাসযোগে নারায়ণগঞ্জে এসে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের মাদক বিক্রেতাদের কাছে ইয়াবা পৌঁছে দিতেন। আটক দু’জনের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানাধীন নয়াকান্দি গ্রামে হলেও তারা মাদক ব্যবসার জন্য তারা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আটি হাউজিং এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করতেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী এস আলম পরিবহনের একটি চেয়ার কোচে তল্লাশিকালে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্দেহ হলে নাজমুলকে আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাজমুলের কথা ও আচরণে অসংলগ্নতা ও অস্বাভাবিকতা প্রকাশ পেলেও ইয়াবা পাচারের বিষয়ে সে অস্বীকার করে। গোপন সংবাদের ভিত্তির তথ্যানুযায়ী তার পেটের ভেতর ইয়াবা রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জের সদর থানাধীন খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে এক্স-রে করে দেখা যায় তার পেটের ভেতর অসংখ্য ডিম্বাকৃতির বস্তু বিশেষ রয়েছে। পরবর্তীতে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে নাজমুল স্বীকার করে যে তার পেটের ভেতর কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো ছোট ছোট ৪০টি ইয়াবার পোটলা রয়েছে যার প্রত্যেকটিতে ৪০ পিস করে মোট এক হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা রয়েছে। পরে তাকে কলা এবং পাউরুটি খাওয়ানোর পর হাসপাতালের টয়লেটে গিয়ে তার পায়ুপথ দিয়ে কালো টেপ মোড়ানো ছোট ছোট ডিম্বাকৃতির ৪০টি পোটলা বের করা হয়।
আটক দু’জন পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবত অভিনব মাদকদ্রব্য ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।