বিক্ষোভের ফুটেজ চায় ভারতীয় পুলিশ, দিতে নারাজ জামিয়া

জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সংঘটিত বিক্ষোভের সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ চাইছে ভারতের পুলিশ। ‘তদন্তের প্রয়োজন’ দেখিয়ে গত ১৫ ডিসেম্বরের বিক্ষোভের ফুটেজ চাওয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা দিতে নারাজ। তারা জানিয়েছে; পুলিশি তদন্ত নয়, বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে আবেদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গত ১২ ডিসেম্বর ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ১৫ ডিসেম্বরের ছাত্র বিক্ষোভের সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে ঢুকে অভিযান চালায় পুলিশ। এতে বহু শিক্ষার্থী আহত হয়। আটক করা হয় অনেককে। পুলিশের দাবি, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। তবে বিধি বহির্ভূতভাবে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শনিবার ‘তদন্তের প্রয়োজনে’ জামিয়া নগর থানা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিসিটিভি ফুটেজ আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। তবে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে পুলিশের কাছে ফুটেজ হস্তান্তরের বিরোধিতা করে। পরে খালি হাতে ফিরে আসেন তিনি। ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও ফুটেজ হস্তান্তরে নারাজ। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক বৈঠকে তারা লিখিতভাবে ফুটেজ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল।’ ফুটেজের কিছু হলে তা ‘আলামত নষ্ট’ করা হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ওয়াসিম আহমেদ খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ১৫ ডিসেম্বর পুলিশের হাতে আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে আনার সময় তারা আমাদের কাছ থেকে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেয়। ওই কাগজে তদন্তের জন্য সিসিটিভি ফুটেজ হস্তান্তরের কথা ছিল। তারা আমাদের কাছে ফুটেজ চেয়েছে। আমরা বলেছি এ নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।’ ওয়াসিম আহমেদ খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। এছাড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *