মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বাড়িতে ঢুকে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে গলাকেটে ও ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। সাটুরিয়া ইউনিয়নের উত্তর কাউন্নরা গ্রাম এ হত্যার ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে পুলিশ লাশ দুটো উদ্ধার করেছে। সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম এ কথা জানান।
সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রবাসীর স্ত্রীকে যৌন নিপীড়নের পর হত্যা করা হয়েছে। সম্ভবত এ ঘটনা দেখে ফেলায় তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, সৌদি প্রবাসী মজনু মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগম (২৬) ও ছেলে নূর মোহাম্মদ (৬)। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পিবিআই পুলিশ উপস্থিত হয়েছে।
পারভীনের শ্বশুর আবদুর রহমানের জানান, এ বাড়িটি তাদের নিজেদের। দোতলার একটি ইউনিটে পারভীনের সঙ্গে তিনি ও তার স্ত্রী থাকেন। আরেকটি ইউনিটে তার অন্য দুই ছেলে পরিবার নিয়ে থাকে। বুধবার খাওয়া-দাওয়া শেষে রাত ১০টার দিকে সবাই ঘুমাতে যান। পারভীনও তার ছেলে নূর হোসেনকে নিয়ে ঘুমাতে যান। ভোরে নূর হোসেন তার দাদার কাছে আরবি পড়ে। বৃহস্পতিবার ভোরে ফজরের নামাজের পর নূর হোসেন আরবি পড়তে না আসায় তিনি খোঁজ নিতে গিয়ে দেখেন পারভীনের রুমে দরজা খোলা। ভেতরে ঢুকে তিনি দেখেন মা ও ছেলের লাশ পরে আছে।
সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম জানান, ‘রাতে কোনও এক সময়ে গৃতবধূ পারভিন বেগম ও তার ছেলে নূর মোহাম্মদকে খুন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গৃহবধূ পারভীনকে যৌন নিপীড়নের পর হত্যা করা হয়েছে। এঘটনা দেখে ফেলায় তার ছেলেকেও খুন করা হয়েছে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, সকালে স্থানীয়দের দেওয়া খবরে মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধূ পারভীনকে গলা কেটে আর শিশুটিকে পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা কীভাবে ঘরে ঢুকেছে, তা এখনও বলা যাচ্ছে না। কক্ষের দরজা ভাঙা হয়নি, খোলা পাওয়া গেছে।’
তিনি আরও জানান, খুনের মোটিভ এবং কারা খুন করেছে এ ব্যাপারে তদন্তের পর জানা যাবে।