ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের নিহত জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মেয়ে জয়নাব সোলাইমানি বলেছেন, ‘আল্লাহর কসম, মহাশয়তান আমেরিকার বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাব।’ ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্সটুডের খবর থেকে জানা গেছে, তিনি আজ বাবার জন্মশহর কেরমানে জুমার নামাজের খুতবার আগে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদে বিমান হামলা চালিয়ে সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। ‘মারাত্মক প্রতিশোধ’ হিসেবে বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে ইরাকের মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। এরপর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে পরমাণু অস্ত্র পরিত্যাগে শর্তে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। পরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদেকে চিঠি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে সোলাইমানির কন্যা জয়নাব প্রতিশোধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
পার্সটুডে বলছে, ইরানে জুমার নামাজে ভাষণ ও খুতবার সময় পাশে একটি রাইফেল রাখা হয়। সাধারণত বক্তব্য দেওয়ার সময় বক্তা এমনকি খতিব নিজেও রাইফেলটি এক হাত দিয়ে ধরে রাখেন। প্রথা অনুযায়ী জয়নাবও তার ভাষণের সময় বাম হাতে অস্ত্র ধরে ছিলেন। বাবার প্রতি কোটি কোটি মানুষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শন করায় তাদেরসবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জয়নাব। ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানান তিনি।
জয়নাব বলেন, তার বাবাকে হত্যা করে আমেরিকা সবচেয়ে বড় বোকামি করেছে। কারণ এর ফলে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ও ইসলামি প্রতিরোধ সংগ্রাম দুর্বল হয়নি বরং গোটা বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষ ও যুবসমাজ জেগে উঠেছে এবং নিজেদের মধ্যে ঐক্য আরও জোরদার হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা কাসেম সোলাইমানি গোটা বিশ্বকে আবারও দেখিয়ে গেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শয়তান। এক সোলাইমানির শাহাদাতের পর হাজার হাজার সোলাইমানি প্রতিশোধ নিতে হোয়াইট হাউসের দিকে যেতে প্রস্তুত।’