বগুড়ায় কাঠমিস্ত্রি হত্যা মামলায় গ্রেফতার ২

বগুড়ার কাহালু উপজেলায় কাঠমিস্ত্রি আলম (২৫) হত্যা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তারা হলেন- কাহালু উপজেলার জাঙ্গালপাড়া গ্রামের সৈয়দ আফলাকুর রহমান পিন্টুর ছেলে সৈয়দ সিহাব আহম্মেদ সম্রাট (২৫) ও মাগুড়া মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে আল-আমিন ওরফে আকাশ (২৬)।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে কাহালু থানা চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে কাঠমিস্ত্রি আলম হত্যা মামলার ওই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয় বলেও জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা বলেছেন, গত ২ জানুয়ারি রাতে তারা কাহালু উপজেলার বারমাইল নামুজা সড়কে কালাই ঘোনপাড়া কাঁচা রাস্তা সংলগ্ন একটি শ্যালো মেশিন ঘরে অবস্থান নেয়। এসময় ওই রাস্তা দিয়ে আলম ও বিপ্লব হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। সেখানে থেকে আসামিরা আলম ও বিপ্লবকে ছুরি দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলুক্ষেত সংলগ্ন বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের আটকে রেখে আলমের মোবাইল দিয়ে দুজনের বাড়িতেই ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে তারা। কিন্তু আলম ও বিপ্লবের পরিবার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আলমের বুকে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর বিপ্লবের হাতে ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘণ্টাখানেক পড়ে উভয়ের পরিবার থেকে টাকা দিতে রাজি হলে দুপচাঁচিয়া এলাকায় অমিত বসাকের দোকান থেকে বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে ১৩ হাজার টাকা নেয় আসামিরা।

টাকা পাওয়ার পর আসামিরা দেখে আলম মারা গেছে। এরপর তারা আলমের মরদেহ আলুক্ষেতে ফেলে দেয় এবং বিপ্লবকে ছেড়ে দেয়। পরে তারা নাগর নদের পাড়ে বসে টাকা ভাগবাটোয়ারা করে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি তাদের আরেক সহযোগী গোলজারের বাড়িতে রাখে।

কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম  জানান, গত ৩ জানুয়ারি আলমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই নিহতের বাবা শিবগঞ্জ থানার নলডুবি গ্রামের লালচাঁন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে ‍পুলিশ প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *