নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলায় ঢাকার (ডিএমপি) যাত্রাবাড়ী থানায় কর্মরত পুলিশের এসআই নাসির আহম্মেদকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওলিউল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাবনা সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধিত-২০০৩) ১১(খ)(গ) ৩০ ধারায় এসআই নাসির আহম্মেদ, মোস্তাক আহম্মেদ, সালমা আহম্মেদ ও লাকী খাতুনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তার মেয়ে রুবিনা আক্তার রুনার সঙ্গে পাবনা শহরের কাচারী পাড়ার মোস্তাক আহম্মেদের ছেলে নাসির আহম্মেদের পুলিশে চাকরি পাওয়ার আগেই পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নাসির ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে তার মেয়ে রুবিনার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে যৌতুক না পেয়ে অন্য আসামিদের যোগসাজশে তার মেয়েকে মারধর করে নাসির। এছাড়াও নাসির পরকীয়ায় জড়িত বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। উক্ত মামলায় নাছিরের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
সোমবার দুপুরে মামলার ধার্য তারিখের আগেই ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় কর্মরত এসআই নাসির আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের আদেশের পর নাসিরকে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।