টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত রোববার (১৯ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এবারের (২০২০ সালের) বিশ্ব ইজতেমা।
ইজতেমার মুরুব্বিরা জানান, জোহরের ওয়াক্তের আগেই দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষ হবে। আখেরি মোনাজাতে দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ মুসল্লি অংশ নেবেন। ইত্যেমধ্যে কয়েক লাখ মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে রয়েছেন। এছাড়াও মোনাজাতে অংশ নিতে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানের আশপাশে অবস্থান নিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা আম বয়ান শুরু করেন। এরমধ্যে দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এরপর শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা ওবায়দুল্লাহ খুরশিদ। রোববার (১২ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
পরে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে প্রাক বয়ানে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। রোববার (১৯ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। ইজতেমার প্রথম পর্ব পরিচালনা করেন মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা। দ্বিতীয় পর্ব পরিচালনা করেন সাদ অনুসারীর মুরুব্বিরা।
এদিকে এবার ইজতেমার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেওয়া ১৯ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে প্রথম পর্বে ১৪ জন ও দ্বিতীয় পর্ব পাঁচজন মারা গেছেন।
ইজতেমায় প্রথম পর্বে মারা যান বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে ইয়াকুব আলী (৮৫), রাতে খোকা মিয়া (৬০) ও মোহাম্মদ আলী (৭০)। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে শহিদুল ইসলাম (৫০)। পরে রাতে মারা যান আরও পাঁচ মুসল্লি। তারা হলেন- কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার ডিমলা এলাকার তমিজ উদ্দিন (৬৫), রাজশাহীর চারঘাট থানার বনকি এলাকার আব্দুর রাজ্জাক (৭০), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানার তোল্লা এলাকার শাহজাহান (৬০), বরিশালের গৌরনদী থানার খালিশপুর এলাকার আলী আজগর (৫৫) ও নারায়গঞ্জের বন্দর থানার কলাবাগান এলাকার ওসমান গণি ইউসুফ (৫০)। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি থানার গুচিহাটা এলাকার নূর ইসলাম (৫৫) ও রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ থানা এলাকার আলী আহমদ (৬০) এবং জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানা এলাকার আব্দুল মোমিন (৫৫)। এছাড়া আরও দু’জনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেওয়া মৃত পাঁচ মুসল্লিরা হলেন রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার উসমানপুর এলাকার হুমায়ুন কবীর (৬৫), ঝিনাইদহ সদর থানার কালাহাট গোপালপুর এলাকার আ ফ ম জহুরুল আলম (৬২), ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার নলভোগ এলাকার ইলিয়াস মিয়া (৮৫), গাইবান্ধার সাঘাটা থানার কামালের পাড়া এলাকার আব্দুস ছোবহান (৬৫)। সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার চানপুর এলাকার কাজী আলাউদ্দিন (৬৬)।