শরীয়তপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র দাউদ ইব্রাহীমকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাতুড়ির আঘাতে তার বাম হাত ভেঙে গেছে। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা ও কলেজ সূত্র জানায়, রবিবার সকালে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ চত্বরে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সেখানেই মিটিয়ে ফেলেন কলেজ ছাত্রলীগ নেতারা। পরে দুপুর ১টার দিকে একাদশ শ্রেণির ছাত্র দাউদ ইব্রাহীমকে শহরের দুবাই প্লাজার কাছে একা পেয়ে মারধর করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ ঢালীর নেতৃত্ব ওই হামলায় অংশ নেয় জহিরুল ইসলাম, বাধন, রিফাত ও ফাহিম নামে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা সবাই ওই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। এসময় দাউদ ইব্রাহীমকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়। এতে তার বাম হাত ভেঙে যায়। খবর পেয়ে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মফিজুর রহমান স্বপন বলেন, তার বাম হাতের কনুইর নিচের অংশ ভেঙে গেছে। দু-এক দিনের মধ্যে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর কারণে আঘাতটা মারাত্মক। ঘটনার পর থেকে শুভ ঢালি, জহিরুল ইসলাম, বাধন, রিফাত ও ফাহিমের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শরীয়তপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ বেপারী বলেন, রবিবার সকালে কলেজে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি আমরা মিটমাট করে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরও কেন একজন নিরীহ ছাত্রকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া হল তা বুঝতে পারছি না। যেহেতু একজন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পালং মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, এক ছাত্রলীগ নেতা কলেজের এক ছাত্রকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে এমন মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ছাত্রের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত পদক্ষেপ নেব।