উত্তর প্রদেশে সিএএ নিয়ে বিক্ষোভ করায় নারীদের ওপর লাঠিচার্জ

উত্তর প্রদেশে সিএএ বিরোধীদের ওপর চড়াও হয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে প্রদেশের এটাওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। সেসময়ের বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, রাতের অন্ধকারে লেপ-কম্বল কেড়ে নেওয়ার পর নারীদের লাঠি দিয়ে পেটানো হচ্ছে। তাদের টেনে হিঁচড়ে ও মারতে মারতে বের করে দিতেও দেখা গেছে ভিডিওতে।

দিল্লির শাহিনবাগের অনুপ্রেরণায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে পথে নামেন উত্তরপ্রদেশের নারীরা। গত কয়েক দিন ধরে লক্ষ্মেৌ, ঘণ্টাঘর-সহ বেশ কিছু এলাকায় অবস্থান বিক্ষোভ করছেন তারা। মঙ্গলবার বিকালে এটাওয়ায় প্রায় ১৫০ নারী জড়ো হন। শেষ দিকে প্রায় ৫০০ নারী এসে যোগ দেন। সংখ্যাটা বেড়ে প্রায় ৫০০ হয়। তাঁদের উপর নজর রাখতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে এটাওয়া প্রশাসন।

 তবে অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভকারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে  পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ভিড়ের মধ্যে ঢুকে টেনে হিঁচড়ে বিক্ষোভকারীদের  সরানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। বাধা দিতে গেলে তাদের ধাক্কা মেরে ফেলেও দেওয়া হয়। আর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সরু গলি দিয়ে প্রতিবাদীদের বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় রীতিমতো তাদের তাড়া করছে পুলিশ। লাঠি দিয়ে মারা হচ্ছে তাদের।

ইতোমধ্যে ভিডিওটি রিটুইট করেছে নারী কংগ্রেস। ভিডিও দেখে নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীরাই প্রথম তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে শুধুমাত্র নারী পুলিশই নামানো হয়েছিল বলেও দাবি তাদের। ভিডিওগুলো রাতের অন্ধকারে হওয়ায় পুলিশ নারী না পুরুষ ছিলো তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে (সিএএ) প্রতিবেশী মুসলিম প্রধান দেশগুলো থেকে আসা অমুসলিম সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান রয়েছে। এর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে যে সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে, তাতে শুধু উত্তর প্রদেশেই নিহত হয়েছে ৩০ ব্যক্তি। ভারতে ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি বলছে, সিএএ মানুষকে নিপীড়নের হাত থেকে রক্ষা করবে। কিন্তু সমালোচকেরা বলে আসছেন, ভারতের ২০ কোটি সংখ্যালঘু মুসলমানকে তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্যই ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা’ কৌশলে আইনটি ব্যবহার করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *