নির্বাচন বানচাল করতে ২০১৪-১৫ সালে যারা অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছিল সেসব অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো- চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম।
তিনি বলেন, গতকালকের ঘটনার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে আমরা অবহিত করতে এসেছিলাম। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। সেগুলো নিয়ে আমরা এসেছি। আমাদের আগে বিএনপির প্রতিনিধিদল এসেছিল, তারাও অভিযোগ দিয়ে গেছে। কথা হচ্ছে , ‘চোরের মায়ের বড় গলা’। গতকালকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র পদপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত এবং এমনভাবে বিএনপির ক্যাডাররা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাতে বোঝা যায়, তারা আগে থেকেই তৈরি হচ্ছিলো। আমরা জানতে পেরেছি যে ২০১৪-১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসে যারা অংশগ্রহণ করেছিল, মামলায় জামিন বেরিয়েছে, তাদের ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্র সজ্জিত হয়ে দলগতভাবে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। তারা এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে যাতে নির্বাচন বানচাল হয়ে যায়। এখানে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে জামায়াত শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা। তাদেরকেই আনা হচ্ছে। গতকাল যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে এবং যেভাবে গুলি চালানো হয়েছে সেগুলোর তথ্য আমরা নির্বাচন কমিশনকেও দিয়েছি। আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন,তাদের গায়ে গুলির আঘাত আছে।
বিএনপির নাটকের ট্রেনিং আছে দাবি করে এইচ টি ইমাম বলেন, মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন যে অন্যদের ওপর হাত তুলতে গেছেন, আক্রমণমুখী ভাব ছিল সেগুলো জানা গেছে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, এই ইশরাক হোসেনের বাবা মরহুম সাদেক হোসেন খোকা কীভাবে গায়ে গরুর রক্ত মেখে মাথায় পট্টি দিয়ে সেজে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এ ধরনের নাটক তাদের করার অভ্যাস আছে, ট্রেনিংও আছে। আমরা বাস্তবতা নিয়ে কথা বলি, আমরা সত্যনিষ্ঠ, বস্তুনিষ্ঠ। আমরা চাই নির্বাচন সুষ্ঠু হোক। সরকারি দল থেকে আমরা এটাই চাইবো যে নির্বাচন অবাধ হোক, গ্রহণযোগ্য হোক। আমাদের প্রার্থী এতটাই ভালো এবং গ্রহণযোগ্য যে তার বিজয় সুনিশ্চিত।
এসময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক একটি ভিডিও দেখিয়ে বলেন, গতকাল দুপুরে জোহরের আজানের পর আমাদের কর্মীরা কেউ নামাজে যান, কেউবা বাসায় খাবারের জন্য যান। তখন মাত্র ৪০-৫০ জন লোক ছিল আমাদের এই কার্যালয়ে। তখন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন কীভাবে হামলা করেছে সেটা দেখা যায়। এই ভিডিওতে পরিষ্কার যে কিভাবে নিজের হাতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মারধর করছে। তারা পরাজয় নিশ্চিত ভেবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য, অবৈধ অস্ত্রধারীদের সারা বাংলাদেশে থেকে জড়ো করা হয়েছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আইন বিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লা হিরু, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওসারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।