সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনও বিশেষ দেশের কেউ যেন মাতব্বরি না করেন, সেদিকে নজর রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এইচটি ইমাম। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এইচটি ইমাম বলেন, ‘নির্বাচনের সার্বিক অবস্থা ভালো। আমাদের সহযোগিতার জন্য সেটা হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে কিছু কথা বলেছি। তারা যেন নিয়ম-কানুন মেনে চলেন। বিশেষ দেশের কেউ যেন এখানে মাতব্বরি না করেন। অন্যান্য দেশে এমন কোনও সুযোগ নেই। অন্য দেশে তাদের অনেক বিধিনিষেধ থাকে। অনেক নিয়ম-কানুন মানতে হয়। অনেক সময়ে অনেকেই অনেক কথা বলে ফেলেন, যাতে মনে হয় আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর কটাক্ষ করে ফেলেন। বাংলাদেশ আগের বাংলাদেশ নেই। আজকের বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহত।’
বিশেষ দেশের ‘মাতব্বরি’ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনে কোনও একটি দেশের অ্যাম্বাসেডর ক্যামেরা নিয়ে পোলিং বুথে ঢুকে গিয়েছিলেন। এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে। রাষ্ট্রদূতদের যথেষ্ট সম্মান করি। বাংলাদেশের মতো এতো আদর-যত্ন কেউ করে না। সেগুলো করবোই। কিন্তু আতিথেয়তা মানে এই নয় যে সে সুযোগ নিয়ে কেউ অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করবে।’
এইচটি ইমাম বলেন, ‘আমরা নিজস্ব ব্যয়ে বড় বড় প্রজেক্ট করতে পারি। আমরা এই উচ্চতায় এসে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও নির্বাচন ব্যবস্থায় যে পরিবর্তন এনেছি, এগুলো অন্যরা মেনে চলুক। আমরা চাই সুষ্ঠুভাবে তারাও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুক এবং আন্তর্জাতিক কোড অব কনডাক্ট, নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত নিয়ম ও সংবিধান মেনে চলুক।’
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশি যেসব ডিপ্লোম্যাটের ব্যাপারে যে নিয়ম-কানুন, সেটি দেশীয় তাদের যে কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাদের ব্যাপারে প্রযোজ্য হতে পারে না। কারণ তারা তো আমাদের দেশীয় মানুষ। তাদের বেলায় আইন-কানুন যেভাবে আছে, ঠিক সেভাবেই যেন মেনে চলা হয়। তারা যেন মনে না করেন, তারা অনেক কিছুই করতে পারেন।’
উল্লেখ্য, আগামী শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ভোট হতে যাচ্ছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে।