সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার যমুনাপাড়ের এক গ্রামের চরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। দণ্ডিতদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও অর্থ আদায় করে ভুক্তভোগীকে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এর বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এই রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলো- সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামের রাসেল আহম্মেদ, সোহেল আহম্মেদ, আব্দুর রাজ্জাক, নাজমুল ইসলাম, নুরু ওরফে নুর ইসলাম (২৩) ও আব্দুল মোমিন। এদের মধ্যে সোহেল ও মোমিন শুরু থেকেই পলাতক।
আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল হামিদ লাবলু জানান, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে একজন তরুণীর সঙ্গে পাশ্ববর্তী পাঁচিল গ্রামের রাসেলের পরিচয় হয়। ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল মেয়েটিকে যমুনার ভাটপিয়ার চরে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর ছয় আসামি তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বাসুদেব সিনহা মামলার তদন্ত করে আদালতে ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।