দুর্নীতির মামলায় পিরোজপুরের সাবেক সংসদ সদস্য এবং পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিন বাতিল করেছেন আদালত। তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ মার্চ) পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে তারা জামিনের আবেদন জানালে আদালতের বিচারক মো. আ. মান্নান এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মুনসুর উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আউয়াল ও তার স্ত্রীর পক্ষে জামিনের আবেদন জানান অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মুনসুর উদ্দিন আহমেদ জানান, আসামিরা মেডিক্যাল ওয়ার্ডে যাওয়ার আবেদন করেছেন। বিচারক তাদের চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
উল্লেখ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর-নাজিরপুর-নেছারাবাদ উপজেলা) আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়ে বরিশাল দুদক কার্যালয়ে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন। মামলাগুলোর মধ্যে একটিতে এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি দুটিতে এককভাবে আসামি করা হয়েছে আউয়ালকে। মামলা দায়েরের পর তারা গত ৭ জানুয়ারি হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে একটি বেঞ্চ তাদের আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। আজ জেলা জজ আদালতের বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিন বাতিল হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আদালত এলাকায় তাদের সমর্থকরা বিক্ষোভ করেন। এছাড়া তারা শহরের বিভিন্ন সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন।