ভারতের বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে (সিএএ) হস্তক্ষেপ চেয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারে কার্যালয়। মঙ্গলবার এই আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত ইস্যুতে কোনও বিদেশি পক্ষের হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাখেলেটের কার্যালয় জেনেভায় অবস্থিত ভারতীয় স্থায়ী মিশনকে সোমবার সন্ধ্যায় এই আবেদনের বিষয়ে অবহিত করেছে।
গত সপ্তাহে বাখেলেট সিএএ এবং দিল্লির সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। সহিংসতা ঠেকাতে পদক্ষেপ নিতে ভারতীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে আইনটি পাস হওয়ার পর জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় এটিকে চরিত্রগতভাবে মৌলিক বৈষম্যমূলক বলে আখ্যায়িত করে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছিল।
রাভিশ কুমার বলেন, সিএএ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভারতের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত কোনও ইস্যুতে বিদেশি কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপের অধিকার নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট যে সিএএ সাংবিধানিকভাবে বৈধ এবং সংবিধানের সব মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ভারত সরকারের দাবি, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার জন্য আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে জাতিসংঘ সংস্থার দাবি, একই সুরক্ষা মুসলমানদের ক্ষেত্রে নেই আইনটিতে।