কুষ্টিয়ায় স্কুলশিক্ষক মুন্সী রবিউল ইসলামকে হত্যা মামলায় ভাতিজা সোহাগের মৃত্যুদণ্ড এবং অপর তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এই রায় দেন। এসময় চার আসামির আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুমারখালী উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামের মুন্সী রেজাউল করীমের ছেলে মুন্সী মো. সোহাগ (৫৫)। এছাড়াও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মো. রাজু আহমেদ (৩৫), কোমরকান্দি গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে রুবেল (৩০) এবং দূর্গাপুর গ্রামের হাতেম শেখের ছেলে আজাদ (৪০)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি রাতে উপজেলার হোগলা মহেন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুন্সী রবিউল ইসলামকে তার বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের মা হাওয়া খাতুন বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, কুমারখালীর স্কুলশিক্ষক হত্যা মামলায় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানি শেষে আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।