দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে দুই লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে মেস থেকে তুলে নিয়ে এসে হলের কক্ষে আটকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। সোমবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষকরা মাহিন শাহরিয়ার নামের ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. কে এম খালেদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ঘটনার শিকার মাহিন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের লেভেল-৩, সেমিস্টার-১-এর শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলের ৫০৬নং কক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করেন সহকারী প্রক্টর প্রফেসর ড. রাসেদুল ইসলাম, সিহাবুল উল্লাহ ও জিয়াউর রহমান হল সুপার গোলাম রব্বানী।
পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার দিবাগত গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের একটি মেস থেকে মাহিনকে তুলে নিয়ে আসে এমবিএ বিভাগের লেভেল-২, সেমিস্টার-১-এর ছাত্র ইয়াকুব, বিবিএ বিভাগের লেভেল-২, সেমিস্টার-১-এর ছাত্র গুঞ্জন ও পরিসংখ্যান বিভাগের লেভেল-২, সেমিস্টার-১-এর ছাত্র সৌরভ কুমার কুণ্ডু। পরে তারা মাহিনকে আটকে রেখে মারধর ও চাঁদা দাবি করে। সে সময় ওই ছাত্রের কাছ থেকে এক হাজার টাকা তারা নিয়ে নেয় এবং আরও দুই লাখ টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেয় ও মারধর করে। এরপর তারা আটকে রেখে বাইরে গেলে ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশের সহযোগিতা চায় মাহিন। খবর পেয়ে পুলিশ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে অবহিত করলে শিক্ষকরা ওই কক্ষ থেকে মাহিনকে উদ্ধার করেন।
প্রক্টর জানান, উদ্ধারের পর ওই ছাত্র হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার ও কোতোয়ালি থানায় তিন অপহরণকারীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত অপর একজনসহ মোট চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন জানান, অপহৃত ছাত্র মাহিন শাহরিয়ারের পরিবার এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করবে। মামলা দায়েরের পরপরই বিষয়টি তদন্ত করা হবে।