সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মোবারকপুরের গৃহবধূ ফারহানা আক্তার রত্না (২৬) হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তার স্বামী হাসিবুর রহমান সবুজ। সাতক্ষীরার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল ইসলামের আদালতে সে এই জবানবন্দি দেয়। সোমবার (৯ মার্চ) সকালে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান তার সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান বলেন।
এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, ‘রত্নাকে তার নিজঘরে হত্যার কথা স্বীকার করে সবুজ বলেছে, “আমি নিজেই আমার স্ত্রী রত্নাকে পেট্রলে পুড়িয়ে হত্যা করেছি।” গ্রেফতারের পর তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’
পুলিশ সুপার জানান, সবুজ গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে আগুন দিয়ে হত্যার উদ্দেশে তিন লিটার পেট্রল কেনে। সে ভাড়া বাসার শোবার ঘরে পাইপের মাধ্যমে পেট্রল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে রত্না পুড়ে যায়। দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে গত ৪ মার্চ মারা যান রত্না।
হত্যার বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘রত্নার আগের স্বামী খুলনার ডুমুরিয়ার মিজানুর রহমান তার বাবার কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তা দিচ্ছিল না। এ নিয়ে বিরোধ চরমে উঠলে ২০১৯ সালে রত্না মিজানুরের ঘর ছেড়ে কুষ্টিয়ার হাসিবুর রহমান সবুজকে বিয়ে করে। তারা তালার মোবারকপুরে বাবু সাধুর বাড়িতে ভাড়া থাকতো। রত্না এর পর থেকে সবুজকে ব্যবহার করে মিজানুরের দোকান পুড়িয়ে দেওয়ার এবং তাকে হত্যার পাঁয়তারা করতে থাকে।’
অপরদিকে সবুজ ধারণা করে, রত্না সাবেক স্বামীর সঙ্গে এখনও মেলামেশা করে। এসব নিয়ে রত্না ও সবুজের মধ্যে মতবিরোধ চাঙা হতে থাকে। এসবের প্রতিশোধ নিতে সবুজ পেট্রল দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে।