তিন ঘণ্টা পর মিরপুরের রূপনগর বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বুধবার (১১ মার্চ) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স ও মেইনটেনেন্স) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান।
এর আগে বুধবার (১১ মার্চ) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে রূপনগর বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট।
আগুনে কয়েক হাজার মানুষ ঘর হারিয়েছেন। যে যার মতো ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে পাশের রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন। অন্তত পাঁচ হাজার ঘর বস্তিতে ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে সঠিক সংখ্যা কেউ বলতে পারেননি।
স্থানীয়রা জানান, আগুন লাগার পর বস্তির বাসিন্দারা যে যার মতো ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন।
বস্তির ৩৪ নম্বর রোডে থাকতেন নাজমুল। তিনি বলেন, ৩২ নম্বর রোডের দিকে প্রথমে আগুন লেগেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে যায়। কিছু নিয়ে আসতে পারিনি।
ঘরের ফ্রিজ, খাটসহ আসবাবপত্র নিয়ে শিয়াল বাড়ি রোডে আশ্রয় নিয়েছেন রহিমা। তিনি বলেন, মাঝামাঝি জায়গায় প্রথমে আগুন লেগেছে। ঘরে যা পেয়েছি তা নিয়ে বের হয়েছি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স ও মেইনটেনেন্স) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর পর্যায়ক্রমে আমাদের ২৫টি ইউনিট আসে। আগুন লাগার পর বিভিন্ন আসবাব দিয়ে রাস্তা বন্ধ করা ছিল। যে কারণে গাড়ি ঢুকতে একটু সমস্যা হয়েছে। আশপাশে প্রচুর পানি সংকট, বিভিন্ন ভবনের রিজার্ভ থেকে পানি নিয়ে আমরা কাজ করেছি। সাড়ে তিন ঘণ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন ডাম্পিং চলছে। কোনও হতাহতের সংবাদ পাইনি। পুরোপুরি নির্বাপণের পর আমরা সার্চ করে দেখব হতাহত কেউ আছে কিনা। আগুনে বস্তির প্রায় ৫০ শতাংশ ঘর পুড়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।’
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা বলেন, ‘বস্তিবাসীর জন্য যত ধরনের সহযোগিতা দরকার আমরা করবো। সরকারি প্রশাসনের বাইরে আমাদের প্রত্যেক নেতাকর্মী বস্তিবাসীর পাশে থাকবে।’