শুধু প্রবাসী কর্মীরাই নন, বিমানের পাইলট, জাহাজের নাবিকসহ বিদেশি মিশনে কর্মরত বাংলাদেশিরাও বৈধ পথে দেশে টাকা পাঠালে ২ শতাংশ নগদ সহায়তা পাবেন। বুধবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এতদিন প্রবাসী কর্মীরা তাদের পাঠানো আয়ের বিপরীতে ২ শতাংশ নগদ সহায়তা পাচ্ছিলেন।
দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদেশি মিশনে (বাংলাদেশ সরকার ও সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ছাড়া) কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তারা তাদের আয় করা অর্থ বৈধ পথে দেশে পাঠালে সেই অর্থের ওপর তারা নগদ সহায়তা পাবেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশি শিপিংলাইন্স বা এয়ারলাইন্সের বিদেশস্থ অফিসে (বাংলাদেশ সরকার ও সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ছাড়া) ও বিদেশি শিপিংলাইন্স বা বিদেশি এয়ারলাইন্সে কর্মরত বাংলাদেশি মেরিনার বা এয়ারক্রাফট পাইলটদের আয়ও বৈধ পথে দেশে পাঠালে সেই অর্থের ওপর তারা নগদ সহায়তা পাবেন।
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, ১০০ টাকা দেশে পাঠালে ২ টাকা প্রণোদনা পাবেন। বাজেটে এ জন্য ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এদিকে গত ৬ আগস্ট এ বিষয়ে নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নীতিমালা অনুযায়ী, ১ হাজার ৫০০ ডলারের কম আয় এলে কোনও নথিপত্র ছাড়াই প্রণোদনা পাওয়া যাবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, যেসব ব্যাংকে প্রবাসী আয় আসবে, তারাই সুবিধাভোগীকে ২ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেবে। প্রতিবার ১ হাজার ৫০০ ডলারের আয় এলে তাৎক্ষণিক সুবিধা দিতে হবে। এর বেশি আয় এলে পাসপোর্টের কপি, বিদেশি কোম্পানির নিয়োগপত্র, ব্যবসার নথিপত্র জমা দিলে নগদ সহায়তা মিলবে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ দিনের মধ্যে প্রণোদনা দিতে হবে।