চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ। শুক্রবার (১৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত গণসমাবেশ থেকে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি।
গণসমাবেশে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সজীব আহমেদ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেকেই উচ্চশিক্ষা গ্রহণে করতে ৩০ বছর পার করে ফেলেন। সেইসব মেধাবী শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রের উন্নতিতে কাজে লাগাতে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করা একটি যৌক্তিক দাবি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, দীর্ঘদিন থেকে এই দাবি আদায়ের জন্য আমরা আন্দোলন করলেও সরকার তা তোয়াক্কা না করে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকারকে অপমান-অবহেলা করে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মুজিববর্ষেই (আগামী ১৭ মার্চের মধ্যেই) যদি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫সহ আমাদের চার দফা মেনে নেওয়া না হয় তবে বেকার মুক্তির গণঅভ্যুত্থানের ডাক দেওয়া হবে। আশা করি, প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষকে সফল করতে আমাদের যৌক্তিক দাবি শিগগিরই মেনে নেবেন।’
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে— চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৩৫ বছরে উন্নীত করা; আবেদন ফি কমিয়ে (৫০-১০০) টাকার মধ্যে নির্ধারণ; নিয়োগ পরীক্ষাগুলো জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে নেওয়া এবং তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।
গণসমাবেশে আরও অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদ, বেকার মুক্তি আন্দোলন এবং জাতীয় যুব কল্যাণ ঐক্য পরিষদের সদস্যরা।