আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটারের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১৭৬টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৭। এর মধ্যে ৮,৯৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৫ হাজার ৭৪৯।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। ৭০ তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক চীনের বাইরে করোনা ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে ১১ মার্চ পৃথিবীব্যাপী মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ওয়ার্ল্ড ওমিটারের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চীনে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৮০ হাজার ৯২৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৪৫ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭০ হাজার ৪২০ জন। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) ভোর ৬টার পর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত করোনার কারণে চীনে নতুন করে প্রাণ হারিয়েছে ৮ জন। চীনের পর সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছে ইতালিতে। সেদেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৭১৩ জন। প্রাণ হারিয়েছে ২ হাজার ৯৭৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৪ হাজার ২৫ জন। ইরানে ১৭ হাজার ৩৬১ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আর মারা গেছে এক হাজার ১৩৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৫ হাজার ৭১০ জন।
ওয়ার্ল্ড ওমিটারস-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) ভোর ৬টার পর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সারাবিশ্বে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৫৭৯ জন। এর মধ্যে কমপক্ষে ২০৫ জন যুক্তরাষ্ট্রের, ১৫২ জন দক্ষিণ কোরিয়ার, ৭২ জন জাপানের, অস্ট্রেলিয়ার ৪০ জন, ভারতের ২ জন, মেক্সিকোর ২৫ জন, আর্মেনিয়ার ৫ জন, তাইওয়ানের ৮ জন, কলম্বিয়ার ৯ জন, বুলগেরিয়ার ২ জন, জর্জিয়ার ২ জন, কাজাখস্তানের ১ জন, নিউজিল্যান্ডের ৮ জন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে নতুন প্রাণহানির সংখ্যা ২৭ জন। এর মধ্যে চীনের ৮ জন, যুক্তরাষ্ট্রের ৫ জন, দক্ষিণ কোরিয়ার ৭ জন, জাপানের ৪ জন, আর্জেন্টিনার ১ জন, বুলগেরিয়ার ১ জন ও কুরাকাও এর ১ জন।