বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পেতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর বেশি জোর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর অংশ হিসেবে হাত ধোয়ার সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এবার এ তালিকায় যুক্ত হলো গুগল। শনিবার (২১ মার্চ) বিশ্বসেরা এই সার্চ ইঞ্জিনের লোগোতে হাত ধোয়ার বিষয়টি ভিডিও আকারে তুলে ধরা হয়েছে। এর মাধ্যমে জার্মান-হাঙ্গেরিয়া পদার্থবিদ ও বিজ্ঞানী ড. ইগনাস ফিলিপ সেমেলবেইসকে স্মরণ করেছে গুগল। হাত পরিষ্কার রাখার সচেতনতা বৃদ্ধিতে পথিকৃৎ ছিলেন তিনি।
নতুন ডুডলে হাত পরিষ্কারের মাধ্যমে কীভাবে জীবাণুমুক্ত থাকা যায় তা ফুটে উঠেছে। শুধু এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে নয়, রোগমুক্ত থাকতে হাত ধোয়া বা পরিষ্কার করার বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়েছে গুগল। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়ই শুধু নয়, এই পন্থা যে সবসময়ই খুব জরুরি সেই বার্তা ছড়িয়ে দিতেই তাদের এই উদ্যোগ।
ছয়টি পদ্ধতিতে ধাপে ধাপে কীভাবে হাত ধোয়ার কাজটি করলে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায় তা দেখানো হয়েছে ডুডলে। এতে নির্দিষ্ট সময় ধরে হাত ধোয়ার বিষয়টি রয়েছে। পুরো পদ্ধতি অ্যানিমেটেড আকারে সাজানো হয়েছে। এটি গুগলের মূল পাতায় (www.google.com) দেখা যাচ্ছে।
ডা. ইগনাস সেমেলবেইস ‘সেভিওর অব মাদার্স’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৮৪৭ সালে প্রথম হাত ধোয়ার মাধ্যমে পরিষ্কার করার বিষয়টি প্রস্তাব আকারে তুলে ধরেন তিনি। ১৭৩ বছর আগে ভিয়েনা জেনারেল হাসপাতালে প্রধান রেসিডেন্ট চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ পান গুণী মানুষটি। সেই সময় পর্যবেক্ষণ করে তিনি খুঁজে পান যে, হাত পরিষ্কার রাখা না রাখার ওপরই মূলত জীবাণু সংক্রমণের বিষয়টি নির্ভর করে। পাশাপাশি ‘চাইল্ডবেড ফেবার’ নামের একটি রোগ খুঁজে পান তিনি, যা নতুন মায়েদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দায়ী। এরপর হাত ধোয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ডা. ইগনাস দেখেন, এর ফলে মৃত্যুর হার বা বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের হার অনেক কমে যায়।
তথ্যসূত্র: সিনেট, গুগল ডুডল