‘হ্যালো রোহান’ নামে মেসেঞ্জারে একটি অডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ইফতেখার আদনান নামে এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) শ্যামল কুমার নাথ এ তথ্য জানিয়েছেন। শনিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ তথ্য জানান।
শ্যামল কুমার নাথ বলেন, ‘নগর পুলিশের উত্তর জোনের কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় নগরীর একটি রেস্টুরেন্ট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ডা. ইফতেখার আদনানই এই অডিওটি তৈরি করেছে এবং সেই এটি ছড়িয়ে দিয়েছে। এটি নিশ্চিত হয়েই আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
ডা. ইফতেখার আদনান নগর যুবদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি নগরীর ইউএসটিসি হাসপাতাল থেকে পড়াশুনা শেষ করার পর বাংলাদেশ মেডিক্যাল সেন্টারে কর্মরত রয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারে ‘হ্যালো রোহান’ শিরোনামে ৩৫ সেকেন্ডের একটি অডিও ভাইরাল হয়। যাতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত এক চিকিৎসক রোহান নামের জনৈক ব্যক্তিকে আবেগভরা কণ্ঠে নিরাপদ থাকার জন্য সতর্ক করে বলেন, সরকার ১৮-১৯ জনের মৃত্যুর সংবাদ গোপন করেছে।
এ সম্পর্কে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বলেন, ‘হ্যালো রোহান, তুমি নামাজ কালাম পড়বা’ এই শিরোনামে ৩৫ সেকেন্ডের একটি অডিও ছড়িয়েছেন আদনান। তিনি মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি পাশাপাশি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছেন। প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি অডিওটি তৈরি করার পর আদনান প্রথমে এটি মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত তার এক ছোট ভাইকে পাঠান। তার পাঠানো অডিও বার্তা এবং ছড়িয়ে পড়া অডিওর মধ্যে তথ্যের কিছু গড়মিল রয়েছে। আমরা তদন্ত করে সেটি বের করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, ডা. ইফতেখার আদনান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ভয়েস রেকর্ডটি তার বলে স্বীকার করেছে। সে নিজে তৈরি করেছে এটি স্বীকার করেছে। আমরা শুধু তার কথার ওপর নির্ভর করছি না। এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।