মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ২০ মার্চ পর্যন্ত বিদেশ ফেরত প্রবাসী এসেছেন দুই হাজার ৭শ জন। এরমধ্যে রবিবার পর্যন্ত মানিকগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবে হোম কোয়ারেন্টিনে এসেছেন মাত্র ৬৫৯ জন। বাকি সবাই এখনও হোম কোয়ারেন্টিনের বাইরে রয়েছেন।
মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের ডিএসবির সিনিয়র এএসপি হামিদুর রহমান সিদ্দিকী জানিয়েছেন, গত ১ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত মানিকগঞ্জে প্রবাস থেকে এসেছেন মোট ২ হাজার ৭শ জন প্রবাসী। এরমধ্যে ৮ মার্চ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে এসেছেন ১ হাজার ৩৮৮ জন।
রবিবার (২২ মার্চ) নতুন করে ৫০ জনসহ মানিকগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবে হোম কোয়ারেন্টিনে থেকেছেন মাত্র ৬৫৯ জন। এরমধ্যে ১৯২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন নীতিমালা মেনে চলায় তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিদেশ ফেরত বাকি ২০৪১ জন ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থেকেছেন কিনা, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে না থেকে বাইরে ঘোরাঘুরির অভিযোগে মানিকগঞ্জে সাতজন প্রবাসীকে বিভিন্ন অংকে জরিমানা করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ জানান, কোয়ান্টোইনে থাকা ৬৫৯ জনের মধ্যে ১৯২ জনকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে দেওয়া হয়েছে। এরা সবাই ১৪ দিন পার করেছেন এবং তাদের শরীরে করোনার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। রবিবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪৬৭ জন।
সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, ‘গত শুক্রবার পর্যন্ত ফেরত আসা প্রবাসীদের তালিকা পাওয়া গেছে। এখন তালিকার ঠিকানা অনুযায়ী খোঁজখবর নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন ছাড়াও জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে মাঠে নেমেছে। এছাড়াও মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে প্রচারণা জোরদার করা হয়েছে। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত প্রবাসীদের কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে। গত ৯ মার্চ থেকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দোতলায় ১৭ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন ইউনিট এবং জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের নতুন ভবনে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট কোয়ারেন্টিন ইউনিট খোলা হয়। তবে এ পর্যন্ত সংক্রামক কাউকে পাওয়া যায়নি।’