শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ পলাশীকুড়া গ্রামে এক ব্যক্তি রবিবার (২৯ মার্চ) রাতে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা জানতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা ছিলেন তারাসহ আশপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া তার দাফন কাফনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই ব্যক্তি তিন-চার দিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তিনি বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় পাইলিং কনস্ট্রাকশনের নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চার দিন আগে সাধারণ ছুটি পেয়ে বাড়িতে আসেন। বাড়ি আসার পর থেকেই তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। চিকিৎসার জন্য তাকে কোনও হাসপাতালে নেওয়া হয়নি।
পলাশীকুড়া গ্রামের ইউপি সদস্য নুরুল হক মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে বলেন, ওই ব্যক্তি অনেক আগে থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। ছুটিতে বাড়ি আসার পর হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট ও জ্বর বেড়ে যাওয়ায় নিজ বাড়িতেই তিনি মারা যান। তবে এতে গ্রামবাসী সন্দেহ করে, তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান জানান, বিষয়টি শেরপুর জেলা সিভিল সার্জনকে অবহিত করার পর আজ সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে তার টিম মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে তিনি করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন কিনা।
এ ব্যাপারে শেরপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার আনোয়ারুল রউফ জানান, আপাতত ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা ছিলেন তারাসহ আশপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া তার দাফন কাফনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।