করোনা নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে নাঈমুর রহমান নাঈম নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) মধ্যরাতে সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিমের সদস্যরা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। একই অভিযোগে আরও কয়েকজনকে নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিআইডি সাইবার মনিটরিং টিমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত ২৯ মার্চ সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম একটি বিভ্রান্তিকর পোস্ট শনাক্ত করে। জনৈক তথ্যদাতা আমাদের পেজে নক করে একটি ফেসবুক লিংক শেয়ার করেন। সেই লিংকে গেলে নিম্নোক্ত পোস্ট পাওয়া যায়— যা প্রচুর পরিমাণে লাইক ও শেয়ারের মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
সেখানে বলা হয়, ‘এইমাত্র জানা গেলো আমাদের শনির আখড়ায় ও সাইনবোর্ড এলাকায় ২৭ জন মারা গেছে করোনাভাইরাসে। আপনারা সবাই সতর্ক হন, নিজে জানুন অন্যকে জানাতে সাহায্য করুন। শেয়ার করে তথ্যটি সবার কাছে পৌঁছে দিন। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।’
খায়রুল আলম বলেন, ‘এ তথ্য পাবার পরেই তদন্তে নামে সাইবার পুলিশের একটি বিশেষ টিম। প্রযুক্তিগত সহায়তায় আমাদের টিম সেই পোস্টদাতা মো. নাইমুর রহমান নাইমকে (১৯) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতারে সক্ষম হয়।’
তিনি জানান, নাইমকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে ওই আইডিটি হ্যাক করেছে। আইডির আসল মালিক তার এক সময়ের বন্ধু ছিল। পরবর্তীতে তাদের ভেতরে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে সে নাইমকে মারধর করে। এরপর থেকেই নাইম প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকে। গত ২৩ মার্চ নাইম ওই আইডি হ্যাক করতে সক্ষম হয় ও ২৯ মার্চ সে বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এই পোস্ট দেয়। নাইম সেখানেই থেমে থাকেনি। সে অন্য একটি ফেক আইডি তৈরি করে এবং সেই আইডি ব্যবহার করে সাইবার পুলিশের পেজে এই পোস্ট সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে, যাতে করে আইডির আসল মালিক গ্রেফতার হয়ে যায়।
হ্যাকার মো. নাইমুর রহমান ওরফে নাইমের মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিভাইস জব্দ করেছে সাইবার পুলিশ সেন্টার। সে একজন কন্ট্রাক্ট হ্যাকার। টাকার বিনিময়ে এর আগেও সে ফেসবুক হ্যাকিংয়ের কাজ করেছে। তার ডিভাইস থেকে ইতোমধ্যে তার অপরাধের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় মামলা করা হয়েছে।