মহামারি করোনাভাইরাস আতংকের মধ্যে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অগ্নিকান্ডে ১০ বসতঘর পুড়ে গেছে। শনিবার (৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার ১৬ নং সাহেলখালী ইউনিয়নের গজারিয়া এলাকার জহির উদ্দিন মিঝি বাড়িতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, আসবাবপত্র, জায়গা জমির দলিল, পাসপোর্ট, প্রয়োজনীয় কাজপত্র সহ প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো দাবী করেছে।
ক্ষতিগ্রস্থরা হলো নুরছাপা, রাশেল, মিয়াচাঁন লাতু, গিয়াস উদ্দিন, খুরশিদ আলম, মোঃ শাহজাহান, রিদোয়ান, ফজলুল হক, বদিউল আলম ও নুরছাপা মনা। এছাড়া আবুল কালাম, আব্দুল কাইয়ুম ও জামাল উদ্দিনের ঘর আংশিক ক্ষতি হয়েছে
ক্ষতিগ্রস্থ গিয়াস উদ্দিন জানান, গতরাত আনুমানিক ৩টার দিকে বদিউল আলমের ঘর থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়ে মহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখায় সব পুড়ে মটিতে মিশে গেছে। পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এতে প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবী মাঈনুল ইসলাম টিপু জানান, এমনিতে করোনাভাইরাস মহামারিতে ওই বাড়ির সবাই অনেক কষ্টে জীবন পার করছেন। তার উপর এমন ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে তাদের থাকার সম্বল বসতঘরও শেষ হয়ে গেল। খুব কষ্ট লাগছে তাদের জন্য। আমি সরকারি, বেসরকারি সংস্থা, সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি ও মানুষদের অনুরোধ করবো এই দূর্যোগ সময়ে সবাই ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।
সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে আমি দ্রæত ওই বাড়িতে ছুটে গেছি। তাৎক্ষনিক তাদের ২শ কেজি চাউল ও নগদ অর্থ দিয়েছি। বিকেলে ক্ষতিগ্রস্থদের শাড়ি দেয়া হবে। ইতমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে ইউএনও স্যার বরাবরে প্রেরণ করেছি।
এই বিষয়ে মিরসরাই ফায়ার ষ্টেশন ও সিভিল ডিফেন্সের ষ্টেশন তানভীর আহমেদ বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রæত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। সময় মতো পৌছাতে না পারলে ওই বাড়ির অন্য ঘরগুলো রক্ষা করা সম্ভব হতো না।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, সাহেরখালীতে অগ্নিকান্ডের খবর শুনেছি। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান সহ ঘটনাস্থলে যাবো। তাৎক্ষনিকভাবে তাদের সহায়তা করবো। এছাড়া সরকারিভাবে সহায়তার জন্য তাদের তালিকা করে ডিসি স্যারের কাছে পাঠাবো।