লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ও চর মার্টিনে দুই শিশু মৃত্যুর পর ৯ পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। এদের মধ্যে একশিশু গত একবছর ধরে খিঁচুনি রোগে ভুগছিল ও অপর শিশু গত চারদিন ধরে জ্বরে ভুগ ছিল। তাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার চর মার্টিন গ্রামের ৫ বছর বয়সি শিশুটিকে নোয়াখালী হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
এর আগে শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে ২ বছর ৬ মাস বয়সি অপর শিশুর মৃত্যু হয়।
তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে মৃত্যু হওয়া শিশুটির বিষয়ে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আমিনুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, শিশুটি গত ১ বছর ধরে ইপিলেপ্সির (খিঁচুনি) রোগী ছিল। শুক্রবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়; তারপরও আমরা সেম্পল কালেকশন করে পাঠিয়েছি। ওই বাড়ির তিন পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে।
স্থানীয় চর মার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়া জানান, চর মার্টিন ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের ৫ বছর বয়সি একটি শিশু গত ৩/৪ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিল। প্রথমে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতিতে নোয়াখালী হাসপাতালে নেওয়ার পথে শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। গত ৩/৪ মাসেও তার পরিবারে কেউ বিদেশ থেকে দেশে ফিরেনি। তবে তার বাবা গত দুই বছর ধরে বিদেশ রয়েছেন। শিশুর মৃত্যুর খবর শুনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল টিম নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠায়।
এ সময় কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে ওই শিশুর বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেন; আশ-পাশের লোকজনকে সর্তক থাকতে বলেন এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ নুরুল আবছার বলেন, তোরাবগঞ্জ ও মার্টিনে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ওই দুই বাড়ির নয় পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। মৃতু শিশুদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।