হঠাৎ করেই জনসমাগম বাড়ছিল বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য কঠোর হয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শেষ পর্যন্ত মহানগরজুড়ে রিকশা, অটোরিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচলও নিয়ন্ত্রণে এনেছে সেনাবাহিনী।
শনিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন তারা। সকাল ১০টার পর থেকেই রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে সব ধরনের যান চলাচলে কঠোর অবস্থানে যান সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সড়কটি খালি করার জন্য মাইকিং শুরু করেন। করোনার সংক্রমণ রোধে যানবাহন চালকদের ফিরিয়ে দিয়ে সবাইকে বাড়ি চলে যেতে আহ্বান করেন তারা। ফলে শনিবার সকাল থেকেই রাজশাহী শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লাও এখন ফাঁকা হয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বেড়েছে পুলিশ টহলও। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বর্তমানে মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। কোথাও যুবকদের জটলা দেখলেই ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছেন এবং দ্রুত বাড়ি চলে যেতে বলছেন। এতে শহরের চিত্র আবারও পাল্টে গেছে। লোকসমাগম কয়েক দিনের চেয়ে আবারও কমে এসেছে।
এর আগে সারাদেশে অঘোষিত লকডাউন ঘোষণা দেওয়ার পরও রাজশাহীতে রিকশা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারা যাচ্ছিল না। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) থেকে আবারও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সবাইকে আরও কিছু দিন খুব সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। তাই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাটাই এখন জেলা প্রশাসনের বড় কাজ। এজন্য শহর ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে। এছাড়া সেনা সদস্যদের সহযোগিতায় বিষয়টি নিশ্চিত করারও চেষ্টা চলছে। অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও দায়িত্ব পালন করছেন বলে উল্লেখ করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক।