করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়া যুবকের কর্মস্থলের সকল সহকর্মীদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দানকারী চিকিৎসক-নার্সদের জন্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
সোমবার (৬ এপ্রিল) সকালে তিনি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর খুলশীতে ওই যুবকের কর্মস্থল সুপারশপ ‘দি বাস্কেট’ এর মালিক, কমর্চারিসহ ৭০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা করোনা রোগীদের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক-নার্স ও অন্যান্য স্টাফসহ ১৭ জনকে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর আগে ৫ ও ৩ এপ্রিল একই পরিবারের দুইজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে একজনের বয়স ৬০ বছর এবং অন্যজনের বয়স ২৫ বছর বলে জানায় বিআইটিআইডি কর্তৃপক্ষ। এর পরপরই দামপাড়াসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়।
প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত মোট ১৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। গতকাল ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২২ জনের নেগেটিভ এবং ১ জনের ফলাফল পজেটিভ পাওয়া যায়।