রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় বনযোগীছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হেমন্ত চাকমাকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দিনগত গভীর রাতে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জুরাছড়ি উপজেলা সন্তু গ্রুপের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসেবেই পরিচিত। তবে হেমন্ত এক সময় ইউপিডিএফ’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এরপর সন্তু গ্রুপের জেএসএস এর চাপে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে সরে আসেন তিনি।
পারিবারিক স্বজনরা জানান, জানি না কেন হেমন্তকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। যারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
জুরাছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাই বলেন, ইউপি সদস্য হেমন্ত চাকমা উপজেলার তার পানছড়ি গ্রামের বাড়িতে কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে রাতের খাবার শেষে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় কয়েকজন মুখোশপরা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এসে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি রাঙামাটি সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। নিহতের স্বজনরা মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে বলেও যোগ করেন তিনি।