কাব্য সৌরভ, মহেশখালী প্রতিনিধি– মহেশখালী পৌরসভার চরপাড়ার বাসিন্দা আলতাজ মিয়া (৩৩) নামে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। খবর নিয়ে জানা যায়, স্ত্রীর পরকীয়ায় বাঁধাদানে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের শারিরীক নির্যাতনের শিকার হয়ে অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় স্বামী আলতাজ মিয়া।
নিহত আলতাজ মিয়া উপজেলার কুতুবজোম পূর্ব পাড়া গ্রামের নুর হোসেনের পুত্র। বিগত পাঁচ বছর আগে পারিবারিক সম্মতিতে একই উপজেলার গোরকঘাটা চরপাড়া গ্রামের সেকান্দর মাঝির কন্যা নয়ারা বেগমের সহিত বিবাহ হয়। স্ত্রী কথায় স্বামী আলতাজ মিয়া তার বাপের বাড়ী কুতুবজোম ছেড়ে শ্বশুর বাড়ি এলাকা চরপাড়ায় আদর্শ গ্রামে জায়গা কিনে বাড়ি করেন। তাদের সংসারে ২ মেয়ে ও ১ পুত্র সন্তান রয়েছে। সংসারের সুখের আশায় আলতাজ মিয়া সাগরপথে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান কয়েক বছর আগে তৎমধ্যে তাঁর স্ত্রী নয়ারা বেগমের সাথে স্থানীয় এক যুবকের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরী হয়। গত মাস তিনেক পূর্বে আলতাজ মিয়া বিষয়টি জানতে পেরে দেশে ফিরে আসেন।
স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়ে তিনি শ্বশুর বাড়ীর লোকজনদের বিচার দিলে তারা কোনো বিচার না করে উল্টো আলতাজ মিয়াকে মারধর করত। বিগত ৯ দিন আগে স্বামী আলতাজ স্ত্রীকে বার বার পরকিয়ায় বাধাঁ প্রদানের কারনে শশুরবাড়ীর লোকজন আলতাজ কে মারধর করে। খবর পেয়ে বৃদ্ধ বাবা নুর হোসেন কুতুবজোম থেকে গোরকঘাটায় ছেলেকে দেখতে গেলে তাঁকে ও পূনরায় মারধর করে বলে জানান এলাকাবাসী।
আজ (শনিবার-২০২০) সকাল নয় টাঃ নিজ বাড়ীর একটি রুমে গলায় রশি পেঁচিয়ে আলতাজ মিয়াকে ঝুলতে দেখা গেলে সোর চিৎকার করেন তাঁর সন্তানরা। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা বাড়ীর দরজা ভেঙে আলতাজ মিয়াকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এলাকাবাসীর দাবী, স্ত্রীর পরকীয়া ও বৃদ্ধ বাবার অপমান সইতে না পেরে আলতাজ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
ঘটনার পর থেকে স্ত্রী নয়ারা বেগম পলাতক বলে দাবী করেন আলতাজের পিতা নুর হোসেন। এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, আত্মহত্যার বিষয়ে তদন্ত চলছে, পরবর্তীতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।