সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে গাড়ি চালানোর দায়ে মাইক্রোবাসের মালিক, চালকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে।
রোববার (১২ এপ্রিল) বাকলিয়া থানায় এসআই বিদ্যুৎ দে বাদি হয়ে তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
পুলিশ গাড়ির চালক মো. জিয়াউল করিম (৩২) ও হেলপার মো. লুৎফুর রহমানকে (২৭) গ্রেফতার করেছে। রোববার রাত ১০টার দিকে মাইক্রোবাসের মালিক মো. মোস্তফাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দীন।
ওসি নেজাম উদ্দীন জানান, বাকলিয়া থানাধীন বশিরুজ্জামান চত্ত্বরে (নতুনব্রিজ) দাঁড়িয়ে চকরিয়া যাওয়ার জন্য যাত্রী তুলেন জিয়াউল করিম ও লুৎফুর রহমান। টহল পুলিশের নজরে আসলে পুলিশ যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি জানায়। তখন যাত্রীরা নেমে যান মাইক্রোবাস থেকে। কিন্তু মাইক্রোবাসের চালক ও হেলপার যাত্রী পরিবহনে অনঢ় থাকেন। পরে পুলিশ তাদের আটক করার চেষ্টা করলে তারা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে কালামিয়া বাজার এলাকায় পুলিশ সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটক করে।
ওসি নেজাম উদ্দীন জানান, মালিক মোস্তফার নির্দেশে তারা যাত্রী পরিবহন করার চেষ্টা করছিল বলে জানিয়েছে। তাই মালিককেও আসামি করা হয়েছে। মোস্তফাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে গণপরিবহন বন্ধ করা হয়েছে। নগরের অভ্যন্তরে বন্ধ এবং প্রবেশও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন সিএমপি কমিশনার স্যার।
পুলিশ কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশনা না মেনে যারা গণপরিবহন বের করবে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের হবে। গাড়ির চালকসহ যারা সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করে গাড়িতে চড়বেন তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নিব আমরা। গাড়ির চালকের পাশাপাশি যে মালিক রাস্তায় গণপরিবহন বের করার অনুমতি দিবেন তার বিরুদ্ধেও ফৌজদারি মামলা দায়ের হবে।
নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা অবস্থায় সড়কে গণপরিবহন বের না করার জন্য চালক-মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।