গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিচ্ছিন্ন ডিশ লাইন সংযোগ দিতে গিয়ে মারধোরের শিকার হয়েছেন স্থানীয় ক্যাবল নেটওয়ার্কের সত্ত্বাধিকারী সালাউদ্দিন আহমেদ ও তার দুই কর্মচারী। রবিবার বিকেলে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের সহযোগীরা কেবল ব্যবসায়ীর ওপর এই হামলা করেন।
এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ী রাতেই কালীগঞ্জ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের খবর পেয়ে যুবলীগ নেতাদের নেতৃত্বে তাদের ১০/১৫ জন সহযোগী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন আহমেদের প্রতিষ্ঠানে ও কর্মচাইর বাড়িতে পুনরায় হামলা করেন। এতে ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার দুপুরে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক হামলা ও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্তরা হলো কালীগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শুক্কুর আলী ও সাধারণ সম্পাদক মোমেন পাঠানসহ তাদের ১০/১৫ জন সহযোগী।
কালীগঞ্জ ক্যাবল নেটওয়ার্কের সত্ত্বাধীকারী সালাউদ্দিন আহমেদ জানান,শনিবার রাতের ঝড়ে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার ডিশ লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই লাইনগুলো সংযোগ দেওয়ার জন্য কর্মচারী আব্দুল খালেক, সোহেল রানা ও শাহিন কাজ করতে যায়। এসময় অভিযুক্ত ওই দুই যুবলীগ নেতা লাইন মেরামত করতে বাধা দেয়। এতে প্রতিবাদ করলে যুবলীগ নেতা ও তাদের সহযোগীরা তাদরেকে মারধোর করে মারাত্মক আহত করে। খবর পেয়ে ক্যাবল নেটওয়ার্কের সত্ত্বাধীকারী সালাউদ্দিন আহমেদ তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
পুনরায় হামলায় বিভিন্ন মেশিন, যন্ত্রপাতি ও অফিসের ৮টি থাই গ্লাসের জানালা ভাঙচুর করে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে অভিযুক্তরা। পরে তারা প্রতিষ্ঠানের পাশেই কর্মচারী শাহীনের বাড়িতে গিয়ে হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় তারা বসত ঘরের টিনের বেড়া, ফ্রিজ, ড্রেসিং টেবিল,সুকেজসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে।
এতে বাধা দেয়ায় শাহীনের স্ত্রী পারুল আক্তারকে মারধর করে আহত করে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক জানান,অভিযোগ পেয়ে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আসামীদেরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।