দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় করোনায় মারা যাওয়া সেই ব্যবসায়ী পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও দাফন-কাফনের কাজে জড়িত ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
সোমবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে আসা তাদের প্রত্যেকের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ ওসমানী।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, গত রবিবার তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রফিক্যাল আ্যন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) পাঠানো হয়েছিল। সোমবার রাতে তাদের রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ আসে।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূূর এ আলম জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তির ২ ছেলেসহ পরিবারের সদস্য, সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক, আত্মীয় ও দাফনের কাজে নিয়োজিত ছিল এরকম ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
তাদের নমুনা পরীক্ষা শেষে বিআইটিআইডি হতে সোমবার রাতে হাতে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ১৬ জনের মধ্যে কারো শরীরে করোনার সংক্রমণ নাই।
উল্লেখ্য সাতকানিয়া গত ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের ইছামতি আলীনগরে ওই ব্যবসায়ী মারা যান। ওই দিন রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে তার করোনা শনাক্ত হয়।