নারায়ণগঞ্জ: ২৮ অক্টোবর সমাবেশের নামে বিএনপি যে আগ্রাসন চালিয়েছে, পুলিশ হত্যা করেছে- সেটি ‘বিচারের দায়িত্ব জনগণের হাতে দিয়েছেন’ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, বিএনপি যেভাবে পুলিশকে কুপিয়ে মেরেছে এটার বিচার আপনারাই (জনগণ) করবেন।
প্রধান বিচারপতির ওপর হামলা মানে রাষ্ট্রের ওপর হামলা। পুলিশকে কুপিয়ে মারা মানে আইনকে কুপিয়ে মারা।
ওরা তো কিছু বাদ রাখেনি। সাংবাদিকদেরও পিটিয়েছে।
পুলিশের লোকটার মৃত্যু কনফার্ম করার জন্য তাকে চাপাতি দিয়ে কোপানো হলো। এগুলো কল্পনার অতীত।
একটা ধাক্কা লেগে গেছে, ওরা আর কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না। ওরা নাকে খত দিয়ে শেখ হাসিনার অধীনে আগামী নির্বাচনে আসবে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মহানগর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ারের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
গোলাম সারোয়ার সম্পর্কে শামীম বলেন, তার সম্পর্কে অনেকে হয়ত জানেন না। ওদের ব্যাচটা আমার সন্তানের মতো ছিল। আজ সারোয়ারের মৃত্যুবার্ষিকী। সবসময় ক্লাসের ফার্স্ট বয় ছিল সে। ওর রাজনীতি করার কথা ছিল না। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু না হলে ও হয়ত রাজনীতিতে আসত না, আমরাও আসতাম না।
রাজনীতি করতে গিয়ে সারোয়ার, মাকসুদ, লাল ওরা যে সেক্রিফাইস করেছে এতটা কেউ করেছে বলে মনে হয় না। ওদের কাছে পদ বড় ছিল না। ওদের চাওয়া ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার জাতির পিতার কন্যাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাওয়া।
তিনি বলেন, ১৯৯৫ সালে আমি হীরা মহলে বসা। এখানে এক ওসি এলেন, তার চাকরি চলে যাওয়ার মতো অবস্থা। কেন? কারণ, আমাদের এরেস্ট করতে হবে। সারোয়ার, মাকসুদ, লাল, নিয়াজুল ওদের মধ্য থেকে একজনকে ধরতে হবে। তখন ওদের মধ্যে তর্ক কে এরেস্ট হবে। পরে ওরা টস করে টসে যে জিতে সে এরেস্ট হয়ে থানায় যায়। আল্লাহর উপর বিশ্বাস আছে- আল্লাহ ওদের জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিয়েছেন। আমি দেখেছি ওরা মানুষের জন্য কতটা কষ্ট করত।