পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ ও বসবাসযোগ্য নগর প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, রাস্তা, ফুটপাতের ওপর কোনো হকার বসতে পারবে না। এই ফুটপাত পথচারী ও গাড়ি চলাচলের জন্য। এতে প্রতিবন্ধকতা কোনোক্রমে বরদাশত করা হবে না।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) চকবাজারের কাঁচাবাজারের নতুন ভবনের ফলক উন্মোচনকালে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
চসিকের সাড়ে ১০ গণ্ডা জায়গার ওপর ৭ তলা ভিত্তির মধ্যে ৩ তলা পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে। এ নির্মাণকাজে চসিকের খরচ হয়েছে ৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
দোকান বরাদ্দপ্রাপ্তদের ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন মেয়র।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরে ৭০ লাখ লোক বসবাস করে। জনসংখ্যার তুলনায় এ নগরে মার্কেট খুবই কম। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ও জিনিসপত্র কিনতে নগরবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ ভোগান্তি লাঘবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরের বিভিন্ন এলাকায় আধুনিক রুচিশীল, মানসম্মত মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।
পাঁচটি কিচেন মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আগ্রাবাদ ও ফইল্যতলী বাজারে আধুনিক কিচেন মার্কেটের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ কিচেন মার্কেট ২টির কাজ শেষ হবে।
সবুজ ও পরিচ্ছন্ন নগর বাস্তবায়নে নগরবাসীকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন,গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও এক থেকে দুই বছর সময় লাগবে। নগরবাসীর যে প্রত্যাশা বা যা কিছু প্রয়োজন চসিক আইনি কাঠামোর মধ্যে সবটুকু করার চেষ্টা করছে।
নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য চসিকের বারইপাড়া খাল খনন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন।
চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনজুমান আরা আনজু, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন।
বক্তব্য দেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, মনিরুল হুদা নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, চকবাজার কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সোলায়মান, সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
এরপর মেয়র চকবাজার ধনির পুল উদ্বোধন করেন।