ঢাকা: রাজধানীর ভাটারা থানায় আট বছর আগে দায়ের করা নাশকতার মামলায় চার বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাজাহান, কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আহসান হাবিব লিংকনসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
কারাগারে যাওয়া অন্যরা হলেন- বিএনপির গ্রাম সরকারবিষয়ক সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম ও মনিরুল হক মনির।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) তারা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৯ অক্টোবর শাজাহানসহ ১৫ জনকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন একই আদালত। তাদের পৃথক দুটি ধারায় দুই বছর করে কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে আদালত আদেশে উল্লেখ করেন। সেক্ষেত্রে তাদের দুই বছর কারাভোগ করতে হবে।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, মাসুদ রানা, আব্দুর রাজ্জাক, জিয়াউল ইসলাম জুয়েল, মো. আরিফ, মোহাম্মদ নিশান মিয়া, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান সুমন ও মোজাম্মেল হক।
এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন, মোহাম্মদ মামুন, দ্বীন ইসলাম ও আমিনুল ইসলামকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জোটের সমর্থক ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের পরোক্ষ ইন্ধনে ৩০ থেকে ৪০ জন ভাটারা থানার বিপরীতে প্রগতি সরণিতে জনসাধারণের চলাচল গতিরোধ, পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাসহ খুন করতে বাসে অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১২ মে ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন একই থানার এসআই শাহ মো. সাজু মিয়া। এরপর মামলার বিচার শেষে এ রায় দেওয়া হয়।