ঢাকা: ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে সহিংসতা এবং পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দায়ে বিভিন্ন মামলায় ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দিনভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, সম্প্রতি রাজনৈতিক কর্মসূচি কেন্দ্র করে কতিপয় দুষ্কৃতকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল হামলা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
২৮ অক্টোবর কাকরাইল, পল্টন, ফকিরাপুল ও মতিঝিলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
গণপরিবহন, ব্যক্তিগত পরিবহন ও সরকারি বিভিন্ন যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়।
পরে বিভিন্ন কর্মসূচি কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ, গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন নাশকতার ঘটনা ঘটে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, গাজীপুরের সাইনবোর্ড এলাকায় পোশাকশ্রমিকদের মধ্যে সহিংসতা ও আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে গাড়িতে আগুন দেওয়ার সময় সুজন মিয়া নামক একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মতিঝিল থেকে পটুয়াখালী জেলার দুমকি থানা কৃষক দলের নেতা আব্দুল মালেক মৃধা ও যশোরের কোতয়ালি থেকে বিরোধী দলের ইউনিয়ন সহ-সভাপতি আকরাম হোসেনকে নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৮ অক্টোবর ও পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার থাকার অভিযোগে সর্বমোট ২১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।