চট্টগ্রাম: গত ২৮ অক্টোবর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির অভিযোগে ১০ দিনে নগরে আড়াইশ’ বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করার দাবি করেছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। এ সময় নগরের ১০ থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা দায়ের করার দাবি করা হয়েছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে ১৫ জন বিএনপির নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক ও বর্তমানে দপ্তরের সমন্বয়ক মো. ইদ্রিস আলী।
গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার চট্টগ্রামে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ১৫ নেতাকর্মীরা হলেন- জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির ধর্ম সম্পাদক বালুচরা এলাকার মো. সিরাজ পাশা, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পরিবার কল্যাণ সম্পাদক জাকির হোসেন মিশু, বিএনপি নেতা মো. ইউসুফ, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দিন উজ্জ্বল, ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন, সদরঘাট থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন, চাঁন্দগাও যুবদল নেতা জামাল উদ্দিন, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল নেতা মোহাম্মদ রাজু, বক্সির হাট যুবদল নেতা মো. সাইফুল ও মো. আবু ছৈয়দ ও দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড যুবদল নেতা সামসুদ্দীন শামসু।
১৩টি মামলার মধ্যে চান্দগাঁও থানায় ১টি, পাঁচলাইশ থানায় ১টি, বায়েজিদ থানায় ৩টি, আকবর শাহ থানায় ২টি, খুলশী থানায় ১টি, পাহাড়তলী থানায় ১টি, ইপিজেড থানায় ১টি, কোতোয়ালী থানায় ১টি, হালিশহর থানায় ১টি ও পতেঙ্গা থানায় ১টি।
মো. ইদ্রিস আলী জানান, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপির এক দফার আন্দোলনে ভীত হয়ে চট্টগ্রামে গণগ্রেফতার শুরু করেছে সরকার। তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ের কাউকেই রেহাই দেওয়া হচ্ছে না।
আওয়ামী লীগ নানা ধরনের নাশকতা করে দায় বিএনপির ওপর চাপাচ্ছে। তাই বিএনপির অবরোধ কর্মসূচিতে সব নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি জানান, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১০ দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫০ জন বিএনপির নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে। ১০ থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা হয়েছে।