নীলফামারী: দিনাজপুরের পার্বতীপুরে জ্বালানি পরিবহনের একটি ট্যাংকলরি বিস্ফোরণে রতন হোসেন (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিস্ফোরণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
রতন জেলা শহরের শেখপুরা সদর এলাকার কালামের ছেলে।
আহতরা হলেন- ওয়েলডিং মিস্ত্রীর সহকারী নাহিদ (১৬) ও বাসের হেলপার বাদশা (৪০)। এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় বাদশাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নাহিদকে পার্বতীপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ট্যাংকলরিতে পানি ভর্তি করে পার্বতীপুরের বাস টার্মিনালের কাছে রতন মোটর গ্যারেজে ওয়েল্ডিং ও ঝালাইয়ের ছিদ্র বন্ধ করা হচ্ছিল। এসময় আগুনের তাপে ট্যাংকির মধ্যে সৃষ্ট গ্যাসের চাপে বিস্ফোরণ ঘটে।
এতে ট্যাংকলরির সামনে ও পিছনের অংশ উড়ে যায়। এ সময় পাশে থাকা মিথুন নামের একটি যাত্রীবাহী বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় ঝালাই মিস্ত্রী রতন মারা যান। ঝালাই মিস্ত্রীর সহকারী নাহিদ ও বাসের হেলপার বাদশা আহত হয়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পার্বতীপুর মডেল থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ট্যাংকলরিটির ঢাকনা না খুলে ঝালাইয়ের (ওয়েল্ডিং) কাজ করার সময় ভেতরে সঞ্চিত জ্বালানি গ্যাসে পরিণত হয়ে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
লরির ড্রাইভার সেরাজুল ইসলাম জানান, লরিটি মেরামত করতে দিয়ে পাশের দোকানে চা খেতে যান। হঠাৎ করে বিকট শব্দ শুনে ছুটে এসে দেখেন ওয়েলডিং মিস্ত্রী রতন ও তার সহকারী নাহিদ ও বাস শ্রমিক বাদশা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।
পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, সতর্কতার সহিত লরি মেরামত কাজ না করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।