নরসিংদী: নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে সুমি আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার উত্তর মিয়া পাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের মালিকানাধীন একটি ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় সাত বছর আগে উত্তর মিয়া পাড়ার ফজলুর রহমানের মেয়ে সুমির আক্তারের সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে রুপন আহমেদ ওরফে রুপার প্রেম করে বিয়ে হয়। দুই বছর আগে সুমি জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে কাজ করতে যান।
দীর্ঘদিন সৌদি আরবে থাকার পর দেড় মাস আগে ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি।
এরপর থেকেই তার স্বামীর সঙ্গে টাকা-পয়সা নিয়ে বিভিন্ন সময় ঝগড়া লেগেই থাকতো।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে কোনো একসময় ঝগড়ার একপর্যায়ে সুমি আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্বামী। পরে তার মরদেহ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে স্বামী রুপন আহমেদ।
সকাল ৯টার দিকে তাদের চার বছরের ছেলেকে সুমির বোনের কাছে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী। পরে ওই বোন তাদের ভাড়া বাসায় এসে রুম পরিষ্কার করার জন্য ঝাড়ু দেওয়ার এক পর্যায়ে খাটের নিচে তার বোনের মরদেহ দেখতে পায়।
এদিকে মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমির মরদেহ উদ্ধার করে।
পলাশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে রুপন আহমেদ পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের পুলিশি অভিযান চলছে। এ ঘটনায় মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে থানায় মামলা করা হবে।