ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে সাড়ে ৭ লাখ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন, আনসারের পাঁচ লাখ ১৬ হাজার সদস্য, কোস্টগার্ডের ২ হাজার ৩৫০ জন, বিজিবি’র ৪৬ হাজার ৮৭৬ সদস্য, পুলিশের (র্যাবসহ) থাকবে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন। অর্থাৎ সাত ৪৭ হাজার ৩২২ জন সদস্য ভোটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের সঙ্গে আজ বৈঠক হয়েছে। এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের অংশ।
তিনি বলেন, বাজেট কখনো চূড়ান্ত হয় না। সম্ভাব্য বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়।
পার ডে, পার পার্সন হিসেবে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে অনুমদিত হার অনুযায়ী কত সংখ্যক নিয়োগ হবে সেই বিষয়টি নিয়ে মূলত আলোচনা হয়েছে। তারা একটি বরাদ্দ এডভান্স চেয়েছে। কতটুকু আমরা বরাদ্দ দেবো বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিষয়গুলো নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে।
অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আনসারের জন্য জনপ্রতি ৬৩৭ টাকা থেকে এক হাজার টাকা, কোস্টগার্ড ৬৩৭ টাকা থেকে এক হাজার ৮২০ টাকা, বিজিবি ৪শ টাকা থেকে এক হাজার ২২৫ টাকা এবং পুলিশ ৪০০ টাকা থেকে এক হাজার ৬০৬ টাকা জনপ্রতি পাবেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। এই ব্যয়ের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ রাখা হয়েছে আইন-শৃ্খৃলা রক্ষায়। বিভিন্ন বাহিনী মোট এক হাজার ৭১ কোটি টাকা চেয়েছে। সবচেয়ে বেশি টাকা চেয়েছে পুলিশ। এই বাহিনী চাহিদা দিয়েছে ৪৩০ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আনসার বাহিনী চেয়েছে ৩৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা।
এছাড়া বিজিবি ১৪৫ কোটি ৮৭ লাখ, র্যাব চেয়েছে ৫০ কোটি ৬৩ লাখ, কোষ্টগার্ড ৭৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা চেয়েছে।
জানা গেছে, ফুয়েল, ভাতা, খাবার ইত্যাদি খাতে বাহিনীগুলো নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের জন্য চাহিদা দেয়। সেই চাহিদা পর্যালোচনা করে বরাদ্দ দেয় কমিশন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, তারা তাদের চাহিদা দিয়েছে। কিন্তু কোন বাহিনীকে কত টাকা দিতে হবে তা নির্ধারণ হবে পরবর্তীতে।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।