ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ সদরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমে দলিলে তথ্য পরিবর্তনের অভিযোগে এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে সদর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার জাহিদ হাসান। এ নিয়ে সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের কাছে অভিযুক্তদের সোপর্দ করা হয়।
আটকরা হলেন- সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের দলিল লেখক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং নকল নবিশ মো. মঞ্জুরুল হক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাবরেজিস্ট্রার জাহিদ হাসান জানান, অফিসের তৃতীয় তলার রেকর্ড রুমে একটি পুরোনো দলিলের তথ্য পরির্বতন করেন আটকরা। ঘটনাটি জানার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সত্যতা স্বীকার করলে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন প্রক্রিয়াধীন। ওই তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, টেম্পারিংয়ের অভিযোগে সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার আওয়ামী লীগ নেতা দলিল লেখক মোস্তাফিজুর রহমান এবং নকল নবিশ মঞ্জুরুল হককে পুলিশে সোপর্দ করেছিলেন। এ ঘটনার খবরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা থানায় এসে ভিড় করলে সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদয়ের সুপারিশে এবং সাবরেজিস্ট্রারের জিম্মায় তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের দলিল লেখকসহ সেবাপ্রার্থীরা। তারা বলেন, ‘টেম্পারিং করা বড় ধরনের অপরাধ। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ অপরিহার্য। অথচ অভিযুক্ত দলিল লেখক আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ’