ফরিদপুর: ফরিদপুরের কলেজছাত্র আসাদুজ্জামান নূর ওরফে তুরাগ (২২) হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় প্রধান আসামি মো. তুষার ওরফে কানা তুষারকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহান।
ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ সম্মেলন।
গ্রেপ্তার হওয়া কানা তুষার জেলা শহরের মধ্য আলীপুর এলাকার শেখ খবির উদ্দিনের ছেলে।
সম্মেলনে এসপি মো. শাহজাহান বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ভোরে বরিশালের বাবুগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তুষারকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তার কাছ থেকে জব্দ করা হয় একটি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন ও এক রাউন্ড গুলি।
এসপি বলেন, তুরাগ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তুষার। মাদক বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে ও আগের বিরোধের জের ধরে তুরাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া তুষারের নামে বিভিন্ন থানায় আরও ২০টি মামলা রয়েছে। তার নামে নতুন করে আরেকটি অস্ত্র মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হবে। পরে তাকে তুরাগ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার (শোন অ্যারেস্ট) দেখানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলেন চাকমা (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গত ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ধুলদি গোবিন্দপুর গ্রামের জামাল মোল্লার মেহগনি ও কলা বাগানের মধ্যে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় আসাদুজ্জামান নুর তুরাগকে। ওই সময় তুরাগের বাম হাত কেটে নিয়ে উল্লাস করতে করতে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে ওই ঘটনায় তুরাগের বাবা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত তুরাগ জেলা শহরের মধ্য আলীপুর এলাকার মো. আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছোট ছেলে। তিনি ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।