নির্বাচনে বাইরের থাবা বিস্তার করেছে: সিইসি

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে আরেকটি দুঃখজনক বিষয় হয়েছে, যে বাইরে থেকে তারা থাবা বিস্তার করে রেখেছে। আমাদের অর্থনীতি, আমাদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে হলে নির্বাচনকে ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল করতে হবে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) আয়োজিত সংসদ নির্বাচনের অনুসন্ধান কমিটির সদস্যদের (বিচারক) প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা একটা ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল ইলেকশন চাচ্ছি।

আমাদের নির্বাচনে আরেকটি দুঃখজনক বিষয় হয়েছে যে, বাইরে থেকে তারা থাবা বিস্তার করে রেখেছে। আমাদের অর্থনীতি, আমাদের ভবিষ্যৎ, অনেক কিছুই রক্ষা করতে হলে এই নির্বাচনকে ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল করতে হবে।
আমরা আশ্বস্ত বোধ করছি, পৃথিবীর দুই-তিনটি দেশ ছাড়া আসলে কোনো দেশই সার্বভৌম নয়, এটা বললে অনেকে দুঃখ পাবেন। কিন্তু সার্বভৌম বিষয়টিও আপেক্ষিক।
তিনি আরও বলেন, আমাকে বাঁচাতে হলে, আমার জনগণকে বাঁচাতে হলে, আমার গার্মেন্টসকে বাঁচাতে হলে জনগণের এবং বাইরের দাবিটা মানতে হবে। সেটি হচ্ছে যে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল হতে হবে এবং কোনো রকম কারচুপির আশ্রয় নেওয়া যাবে না।

সিইসি বলেন, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, পুলিশের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তাদের সহায়তা ছাড়া নির্বাচন কমিশন এককভাবে নির্বাচন করে না, করতে পারে না। সবার আন্তরিক ও সৎ সাহসিক সহায়তা আমাদের লাগবে। এ জন্য আমরা আশা করবো সবাই চোখ, কান খোলা রেখে সৎভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আরও বলেন, আপনাদের দায়িত্ব রয়েছে। ২১ দিনের দিনের আগে প্রচারণা করতে পারবেন না। হয়ত সভা করতে পারবে। প্রচারের সময় ডাবল অ্যাটেনশন দিতে হবে। এর আগে যে কোনো রকম প্রচারণা করতে পারবেন না। ৩০০টি নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি প্রথমবারের মতো করা হয়েছে। এতে প্রমাণ হয়েছে সত্যিকার অর্থে আমরা ভিজিল্যান্সটা চাচ্ছি। বিচারকরা যেভাবে সাহসী হয়ে ভিজিল্যান্স করতে পারবেন, অনেকে সেটা করতে পারবেন না। দেশের গণতন্ত্র রক্ষার্থে বুদ্ধি, প্রজ্ঞা, সাহসিকতা দিয়ে যতদূর পারেন সাহায্য করবেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশ সংকটে আছে। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে আছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সবাইকে সমভাবে দায়িত্বশীল হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সিইসি আরও বলেন, আমরা দেখতে চাই ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসছেন। ভোটারদের কেউ বাধা দিচ্ছে না। আমরা দেখতে ভোটাররা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। লাইনটা যেন চলমান থাকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যেন দাঁড়িয়ে না থাকে। তারপর তারা ভোট দিয়ে বের হয়ে আসছেন কি-না সেটা দেখতে চাই।

অনুষ্ঠানে ১০৫ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, ইটিআই মহাপরিচালকসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *