কলকাতা: ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ উদ্ধার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা।
উদ্ধার স্বর্ণের ওজন প্রায় ২ কেজি।
এর আনুমানিক মূল্য ১.২৭ কোটি রুপির বেশি। এসব স্বর্ণের মধ্যে রয়েছে ৮টি স্বর্ণের বিস্কুট, ৪টি বিকৃত আকারের স্বর্ণের কিউব এবং ৫টি ছোট সোনার বার।
বিএসএফ এর অভিযোগ, ভারতীয় ট্রাকে করে এসব স্বর্ণ বাংলাদেশ থেকে আনা হচ্ছিল। পাচারের অভিযোগে একজন ভারতীয়কে আটক করেছে বিএসএফ।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিএসএফ এক বিবৃতিতে জানায়, রোববার (২৬ নভেম্বর) বিএসএফ এর দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পেট্রাপোল চেকপোস্টে (আইসিপি) দায়িত্বপ্রাপ্ত ১৪৫ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ-এর সদস্যরা এসব স্বর্ণ উদ্ধার করে।
বিএসএফ এর তথ্য মতে, ভারতে প্রবেশের সময় সন্দেহভাজন এক খালি ট্রাককে থামতে বলা হয়।
এরপরই ওই ট্রাকে তল্লাশির সময় চালকের আসনের পেছনের কেবিনে স্কচটেপে মোড়ানো ১৭টি স্বর্ণের টুকরা উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ট্রাক চালককে আটক করে ট্রাকসহ স্বর্ণ জব্দ করা হয়। পাচারকারীর নাম আব্দুল জোহাব মালিক (২৯)। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণা জেলার খালিতপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল জানান, তিনি গত কয়েকদিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত হয়েছেন। রোববার (২৬ নভেম্বর) মধ্যরাতে বেনাপোলের বাসিন্দা আশিক মণ্ডল তার কাছে এসব স্বর্ণ দেয়। তাকে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁয় এক ব্যক্তি তার সঙ্গে যোগোযোগ করে এসব স্বর্ণ নেবে। সেগুলো তার কাছে কাছে হস্তান্তর করে দিতে হবে। এ কাজের জন্য তিনি ১০ হাজার রুপি পাবেন। কিন্তু তার আগেই স্বর্ণসহ আব্দুল ধরা পড়ে বিএসএফ এর হাতে।
আটক আব্দুল ও জব্দকৃত স্বর্ণ পেট্রাপোলের শুল্ক বিভাগ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি (জনসংযোগ) একে আর্য জানান, কুখ্যাত চোরাকারবারিরা গরিব ও নিরীহ মানুষকে অল্প পরিমাণ অর্থের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে। কিন্তু ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ সজাগ আছে এবং কঠোর পদক্ষেপ অবলম্বন করছে। সীমান্তে যেকোনো ধরনের চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ সম্পূর্ণভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।