‘শ্যালো ইঞ্জিনচালিত মেশিন দিয়ে আখ মাড়াই করা হচ্ছিল। সেই আখের রস পোড়া মবিল ও আবর্জনা মিশ্রিত অবস্থায় একটি গর্তে গিয়ে জমা হচ্ছে। পাশেই একটি পাত্রে আখের সেই রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করছিলেন ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন। কী যে নোংরা অবস্থা, না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল!’ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ধরলা নদীর চরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গুড় তৈরির কারখানার এমন বর্ণনা দেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক তানজিলা তাসনিম।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে গিয়ে ওই কারখানাটি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে ওই কারখানার মালিককে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক তানজিলা তাসনিম বলেন, ‘বালুচরে এ ধরনের আখ মাড়াই ও গুড় তৈরির কারখানা দেখে আমরা হতবাক হয়েছি। কোনও ধরনের অনুমোদন ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ওই কারখানায় গুড় তৈরি হচ্ছিল যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারত্মক হুমকি। আমরা কারখানাটি গুঁড়িয়ে দিয়েছি। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।