ঢাকা: ভূমি মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় ভার্সনের স্মার্ট ভূমিসেবা সিস্টেমের প্রযোজ্য সব ডাটা এক্সেস আইন ও বিচার বিভাগের সঙ্গে শেয়ার করা হবে। এতে আদালতে বসেই জজ এবং ম্যাজিস্ট্রেটরা ভূমি বিষয়ক ডকুমেন্ট যাচাই করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ভূমি সচিব খলিলুর রহমান।
তিনি বলেন, এর ফলে ভূমি বিষয়ক প্রযোজ্য তথ্য দ্রুত যাচাই করা যাবে এবং সংশ্লিষ্ট মামলা দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।
বুধবার (০১ নভেম্বর) তেজগাঁওয়ের ভূমি ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বুনিয়াদি কোর্সে অংশগ্রহণকারী সহকারী জজ/ সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত স্মার্ট ভূমিসেবা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি সচিব এসব কথা বলেন।
সচিব বলেন, দলিলমূলে স্বয়ংক্রিয় নামজারি চালুর জন্য ইতোমধ্যে ১৭টি উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। ভূমি অফিস এবং সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মধ্যে এ আন্তঃসংযোগ দ্রুত দেশব্যাপী বিস্তৃত করা হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে দক্ষ ভূমি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশনের ওপর খুবই গুরুত্ব দিয়েছেন।
নাগরিককে ভূমিসেবা প্রদানের দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারের সর্বোচ্চ দুটি নির্বাহী সংস্থা ভূমি মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের সমন্বয়পূর্ণভাবে কাজ করা অবশ্যক।
কর্মশালায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিকেএমপি অনুবিভাগের যুগ্মসচিব ড. জাহিদ হোসেন পনির সচিত্র উপস্থাপনার মাধ্যমে স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিভিন্ন উদ্যোগের ব্যাপারে বুনিয়াদি কোর্সে প্রশিক্ষণরত সহকারী জজ/ সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিস্তারিত অবগত করেন। পরে সহকারী জজ/ সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ প্রশ্নোত্তর পর্ব ও অন্যান্যদের সাথে মিথস্ক্রিয়ায় অংশ নেন এবং নিজেদের মতামত জানান।
কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক যুগ্মসচিব মোজাফ্ফর আহমেদ, ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক যুগ্মসচিব মো. আরিফ, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান, উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ড. মো. আলমগীরসহ ভূমি মন্ত্রণালয়, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মহানগর সার্কেল ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা।